সোমবার, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

 স্টাফ রিপোর্টার


ঢাকা জেলার একজন মাল্টিমিডিয়ার সাংবাদিক শ্যাম গোপাল রায় তিনি প্রায় সকল কাজেই অংশগ্রহণ করেছেন তিনি প্রায় এক বছর যাবত এই কাজে নিয়োজিত আছে সে তার কাজে আস্তে আস্তে সাফল্য বয়ে আনছে আপনার তার জন্য দোয়া ওও আর্শিবাদ করবেন তিনি যেন তার সকল কাজে সফল হতে পারে আর তার পক্ষ থেকে সবাইকে শারদীয় দূর্গা পূজার শুভেচ্ছা জানানো হচ্ছে সবাইকে



শুক্রবার, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

বারান্দায় বাবার আর বাড়ির পাশে গাছে ঝুলছিল ছেলের মরদেহ


 বারান্দায় বাবার আর বাড়ির পাশে গাছে ঝুলছিল ছেলের মরদেহ


)স্টাফ রিপোর্টার)

পারিবারিক কলহের জেরে স্ত্রীকে বাঁশের লাঠি দিয়ে মারছিলেন ছেলে। তা দেখে ঠেকাতে যান বৃদ্ধ বাবা। এ সময় ছেলের আঘাতে অসুস্থ হয়ে পড়লে বাবাকে বাড়িতেই চিকিৎসা দেয়া হয়। পরে রাতে অসুস্থ বাবা মারা যান। আর বাবা মৃত্যুর খবর শুনে ছেলে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে দাবি স্বজনদের।

পারিবারিক কলহের জেরে বাবা-ছেলের মৃত্যুতে পরিবারের সদস্যদের আহাজারি। ছবি আবাবিল :

পারিবারিক কলহের জেরে বাবা-ছেলের মৃত্যুতে পরিবারের সদস্যদের আহাজারি। ছবি:সংগৃহীত 


নিহতরা হলেন: ওই গ্রামের শম্ভু চরণ বিশ্বাস (৮০) ও তার মেঝো ছেলে বিজয় কুমার (৩২)। তিনি পেশায় মাছ বিক্রেতা ছিলেন। এ ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।


পুলিশ, স্বজন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি শম্ভু চরণ বিশ্বাসের ছাগল বিক্রি ৯ হাজার টাকা নিয়ে পূজার কেনাকাটা করেন ছেলে বিজয় কুমার। এরপর বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার দিকে বিজয় ফের টাকা চান বাবার কাছে। এ নিয়ে স্ত্রী মিনতির সঙ্গে বিজয়ের তর্কাতর্কি হয়। এক পর্যায়ে তিনি স্ত্রীকে বাঁশের লাঠি দিয়ে মারধর শুরু করলে তার বাবা ঠেকাতে যান। এ সময় আঘাতে বাবা অসুস্থ হয়ে পড়লে পল্লী চিকিৎসক ডেকে পারিবারিকভাবে চিকিৎসা দেয়া হয়। এরপর রাত ১১টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান শম্ভু চরণ। আর শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সকালে বাড়ির পাশের বাদাম গাছ থেকে ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশকে খবর দেয় স্বজনরা।


খবর পেয়ে সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে। এরপর সুরতহাল করে বাবা-ছেলের মরদেহ কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।


বাগুলাট ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য মনিরুল ইসলাম বলেন, পারিবারিক কলহের জেরে বৃহস্পতিবার বিকেলে স্ত্রীকে বাঁশের লাঠি দিয়ে মারছিল ছেলে। এ সময় ঠেকাতে গেলে বাবার শরীরে একটা আঘাত লাগে। এতে অসুস্থ হয়ে পড়লে বাড়িতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ১১টার দিকে মারা যান শম্ভু। আর বাবার মৃত্যুর খবর শুনে ছেলে আত্মহত্যা করেছে। এ ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।


জানা যায়, টিনশেড ঘরের বারান্দায় পাশাপাশি রাখা রয়েছে বাবা-ছেলের মরদেহ। পাশেই আহাজারি করছেন স্বজনরা। তাদের ঘিরে দাঁড়িয়ে আছেন প্রতিবেশী ও উৎসুক জনতা। তারা স্বজনদের সান্ত্বনা দেয়ার চেষ্টা করছেন। সেখানে আইনি কার্যক্রম পরিচালনা করছে পুলিশ। নিহত শম্ভুর বাম হাতে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।


এ সময় নিহত শম্ভুর ছোট ছেলে ও বিজয়ের ভাই বিজন কুমার বলেন, ‘টাহা নিয়ে বাঁধছিল। এ সময় বউ মারতি গিয়ে এটুফোঁটা মুরব্বীর (বাবা) গায় লাগলি অসুস্থ হয়ছিল। ডাক্তার আনে চিকিৎসা দিছিলাম। তবুও রাতে মুরব্বী মারা গেছে। সেই অনুরাগে ভাই গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেছে। এখানে অন্যকিছু নেই।’


তবে নিহত বিজয়ের স্ত্রী মিনতি বলেন, ‘পূজার চাঁদা দেয়া নিয়ে বাবার সাথে দুই কথা বাঁধেছে। বাপ টাকার টেনশনে স্ট্রোক করে মারা গেছে। আর ওই জন্য মনের ভিতর খারাপ লাগেছে বলে ও (স্বামী) গলায় দড়ি নেছে। তার ভাষ্য, শ্বশুর মারা গেছে রাতে। আর স্বামীর মরার খোঁজ পাওয়া গেছে সকালে। রাতের স্বামী কোথায় ছিলেন তা তিনি জানেন না।’


আর নিহত শম্ভুর স্ত্রী বিলাসী জানান, একবার ছাগল বিক্রির ৯ হাজার টাকা নিয়ে পূজার কেনাকাটা করেছিল ছেলে বিজয়। আবার পরদিন ছেলে ফের টাকা চাইলে স্বামী শোকে স্ট্রোক করে। পরে রাতে মারা গেছেন। আর ছেলে গলায় দড়ি নিছে।


কুমারখালী থানার ওসি খন্দকার জিয়াউর রহমান বলেন, ঝগড়াঝাঁটির জেরে বাবা ছেলের মৃত্যু হয়েছে। স্বজনদের দাবি বাবা স্ট্রোক করে মারা গেছে। তবে মৃত্যুর ঘটনা নিশ্চিত নয়। আর ছেলে গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে জানা গেছে। তাদের মৃত্যুর ঘটনা নিশ্চিত হওয়ার জন্য মরদেহ মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন আসলে প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে।

বৃহস্পতিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

পূজা উপলক্ষ্য জরুরি সেবা মূলক দের ফোন নাম্বার


 পূজা উপলক্ষ্য জরুরি সেবা মূলক দের ফোন নাম্বার

বিনা মূল্যে চিকিৎসা সেবা



স্টাফ রিপোর্টার

নবাবগন্জ এ চন্দ্রখোলা কালীমন্দির নাট মন্দির সংলগ্নে ডা: হরগোবিন্দ সরকার ও তার কর্মীরা সাধারণ মানুষদের কে বিনা মূল্যে চিকিৎসা সেবা ও ঔষধ দিয়ে সহায়তা করছেন তার ৮২ জন রোগীকে চিকিৎসা দিয়েছেন আরও রোগী হয়েছিল কিন্তু তারা সময়ের জন্য আর রোগীর দেখার সময় পায় নি তারা ৩:৩০ হতে ৬:০০ টা পর্যন্ত কমসূচি পালন করছিলেন তাদের সহায়তায় ছিলেন সুভ্রূ তালুকদার আরও ছিলেন দুইজন মূরবি ও এক ভাই সাংবাদিক ছিল মাল্টিমিডিয়ার nnews ও প্রিয় সংবাদ মিডিয়া 
 

বুধবার, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

বিনা মূলে ঔষধ বিতরণ

 স্টাফ রিপোর্টার


কালকে যাদের বিনামূল্য ঔষধ লাগবে তারা কালকে বিকাল ০৩:০০ ঘটিকার সময় চন্দ্রখোলা কালী মন্দিরে উপস্থিত থাকবেম ডাক্তার হরগোবিন্দ সরকার আপনাদের ভালো চেকআপ করে ঔষধ দিবেন সহযোগিতায় থাকবে সুভ্রূ তালুকদার


আর নিউজ থেকে থাকবে

শ্যাম গোপাল রায় Sham Nnews মাল্টিমিডিয়ার সাংবাদিক

মোবাইল নং: 01322361649


বাংলাদেশ স্কাউটস জাতীয় ট্রেনিং টীম এর সম্মানিত সহকারী লিডার ট্রেনার


স্টাফ রিপোর্টার

বাংলাদেশ স্কাউটস জাতীয় ট্রেনিং টীম এর  সম্মানিত সহকারী লিডার ট্রেনারের দায়িত্ব পত্র হাতে পেলেন রণজিৎ কুমার রায়। 


সোমবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

সাংবাদিকদের সন্ত্রাসী বলা ম্যাজিস্ট্রেটকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে: বিএমএসএফ

 স্টাফ রিপোর্টার


 সাংবাদিকদের সন্ত্রাসী বলা ম্যাজিস্ট্রেটকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে: বিএমএসএফ


ঢাকা, রবিবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রী: পঞ্চগড় জেলার করতোয়া নদীর ঘাটে সংবাদ সংগ্রহে যাওয়া সাংবাদিকদের ‘সন্ত্রাসী’ বলে গালিগালাজ করার অভিযোগ উঠেছে জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. তাহমিদুর রহমানের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় সাংবাদিকদের তীব্র ক্ষোভের মুখে তাকে শুধু দায়িত্ব থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। তবে বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম (বিএমএসএফ) বলেছে, “শুধু প্রত্যাহার নয়, এই কর্মকর্তা যেন প্রকাশ্যে ক্ষমা চান।” এদিকে রংপুরে সংবাদ সংগ্রহে যাওয়ায় সিনিয়র সাংবাদিক লিয়কত আলী বাদলকে প্রকাশ্যে সিটি করপোরেশনের গুন্ডা বাহিনী কর্তৃক

মারধরের ঘটনায় দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করা হয়েছে। 


ঘটনার পটভূমি: ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার করতোয়া নদীর আওলিয়া ঘাটে মহালয়ার দিনে ভয়াবহ নৌকাডুবিতে ৭১ জনের মৃত্যু হয়। রবিবার (২১ সেপ্টেম্বর) ছিল ওই দুর্ঘটনার তিন বছর পূর্তি। এ উপলক্ষে ৬–৭ জন সাংবাদিক ঘটনাস্থলে সংবাদ সংগ্রহে যান।


ঘটনাস্থলে উপস্থিত ম্যাজিস্ট্রেট মো. তাহমিদুর রহমান সাংবাদিকদের নদী পারাপারে বাধা দেন। নদীতে অন্য নৌকাগুলো চলাচল করলেও সাংবাদিকদের মোটরসাইকেলসহ পার হতে দেওয়া হয়নি। বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন তুললে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে বলেন, “আপনি আল জাজিরার সাংবাদিক হন বা যেই হন, যেতে পারবেন না।”


এরপর তিনি সাংবাদিকদের উদ্দেশে আরও বলেন, “আপনারা তো সন্ত্রাসী।”

এই বক্তব্য শতাধিক সাধারণ মানুষের সামনে দেওয়ায় সাংবাদিকরা অপমানিত বোধ করেন এবং এর ভিডিও ফুটেজ ধারণ করেন।


প্রশাসনের প্রতিক্রিয়া: জেলা প্রশাসক সাবেত আলী সাংবাদিকদের জানান, “ম্যাজিস্ট্রেট তাহমিদুর রহমানকে আজকের মতো ঘাটের দায়িত্ব থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।”


তবে ঘটনার সময় উপস্থিত ছিলেন বোদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রবিউল ইসলাম। সাংবাদিকরা তার দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি কোনো মন্তব্য না করে বলেন, “কি পারেন করেন।”


সাংবাদিকদের অভিযোগ: ঢাকা পোস্টের জেলা প্রতিনিধি নূর হাসান বলেন, “ঘাট ফাঁকা থাকলেও আমাদের মোটরসাইকেল নিয়ে যেতে বাধা দেওয়া হয়, অথচ অন্য সাধারণ মানুষ ও ইউএনও নিজেও মোটরসাইকেল নিয়ে পার হচ্ছিলেন। সাংবাদিকদের এভাবে বাধা দেওয়া অযৌক্তিক।”


বাংলাভিশনের সাংবাদিক মোশারফ হোসেন বলেন,

“আমাদের পরিচয় শুনে তিনি বলেন, ‘যেই সাংবাদিক হন, যেতে পারবেন না।’ পরে আমাদের সন্ত্রাসী বলে গালাগাল করেন। একজন সরকারি কর্মকর্তার কাছ থেকে এমন আচরণ কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।”


বিএমএসএফ-এর প্রতিক্রিয়া: বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম (বিএমএসএফ) ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান আহমেদ আবু জাফরএক বিবৃতিতে বলেছে,“সাংবাদিকদের সন্ত্রাসী বলা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। শুধু দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া যথেষ্ট নয়, ম্যাজিস্ট্রেট তাহমিদুর রহমানকে অবশ্যই সাংবাদিকদের সামনে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে।”